পাবনা পৌরবসীর ১ ঘন্টার মধ্যে পৌরসেবা দিতে প্রস্তুত পৌর প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম

মোঃ মনিরুজ্জামান মুন্না,পাবনা:
দীর্ঘদিনের অব্যাহত বর্ষণ ও প্রতিকূল অবস্থার কারণে থমকে থাকা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে পাবনা পৌরসভায়। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে পৌর প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মাঠপর্যায়ে সরেজমিন তদারকি শুরু করে স্থবির উন্নয়নকে নতুন গতি দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পৌরকর্মীদের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অবহেলার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দেন। ল্যাম্পপোষ্ট স্থাপন, পরিচ্ছন্নতা ও নগরায়নে নতুন উদ্যোগে অবকাঠামো আলোকিত ও নান্দনিক করতে ইতোমধ্যে চারটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে,সড়ক আলোকায়ন ও পরিচ্ছন্নতা
১. গাছপাড়া থেকে এডওয়ার্ড কলেজ পর্যন্ত সড়কজুড়ে আলোক স্থাপন ও নিয়মিত ক্লিনিং ড্রাইভ শুরু হয়েছে। ২. জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কে আলোকায়ন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
নাগরিক পরিসর উন্নয়ন
৩. বনমালি অডিটোরিয়াম সংলগ্ন ফাঁকা স্থানে নির্মিত হবে আধুনিক “পৌর স্কয়ার” — যা সাংস্কৃতিক আয়োজন ও গণসমাবেশের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ৪. বাস টার্মিনালের পাশের খালি জায়গায় স্থাপন করা হবে পাবলিক পার্ক, যেখানে বিনোদন, হাঁটা ও বসার ব্যবস্থা থাকবে।চলমান প্রকল্পে ফের গতির সঞ্চার প্রশাসকের তদারকি ও সমন্বয়ে চলমান প্রকল্পগুলোয় দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছেএডিপি ২০২৪-২৫:
৩টি প্যাকেজে ২৩টি স্কিমের কাজের প্রায় ৯০% সম্পন্ন। এডিপি বিশেষ ২০২৪-২৫:
২টি প্যাকেজে ৭টি স্কিমের ৫০% অগ্রগতি।LGCRRP: ১২টি প্যাকেজের ৮৫টি স্কিমের মধ্যে ৮০% কাজ শেষ। RUTDP ২৬ জুন ২০২৫ অনুমোদিত ১টি প্যাকেজে ৩টি স্কিমের দরপত্র মূল্যায়ন চলছে, শিগগিরই কার্যাদেশ হবে।
বৃহত্তর পাবনা-বগুড়া অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প:
২১টির মধ্যে ৯টি প্যাকেজের কাজ শুরু হয়েছে; বাকি ১২টির কাজ দ্রুত মেয়াদে শুরু হবে।
মাঠপর্যায়ে সক্রিয় নজরদারি ও জবাবদিহিতা
প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম নিজেকে কক্ষচ্যুত না রেখে কর্মকর্তাদের নিয়ে শহরের রাস্তা, ড্রেনেজ, জনসেবা এলাকা এবং উন্নয়নকাজের অগ্রগতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন,
“নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করাই এখন প্রধান লক্ষ্য।”
জনআস্থায় ফেরার ইতিবাচক সাড়া, বৃষ্টিজনিত স্থবিরতা কাটিয়ে উন্নয়ন তৎপরতা, নতুন প্রকল্প, সড়ক সংস্কার, আলোকায়ন এবং নাগরিকমুখী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে শহরে পরিবর্তনের সুর স্পষ্ট হচ্ছে। তদারকি জোরদার হওয়ায় এবং হটলাইন চালুর ফলে মানুষের মধ্যেও আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। প্রশাসকের সক্রিয় পদক্ষেপে নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা এখন বাস্তব রূপ পাচ্ছে—এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্টরা।
প্রশাসক বলেন “সময় নষ্টের আর সুযোগ নেই। বৃষ্টি যতটা বিলম্ব ঘটিয়েছে, এখন তার চেয়েও দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে নিতে হবে। দায়িত্বে গাফিলতি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
মাত্র এক ঘন্টায় যে কোন সমস্যা সমাধান করার কথা বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন নাগরিক সেবায় বিশেষ হটলাইন চালু করা হয়েছে ,জনগণের অভিযোগ ও সমস্যার দ্রুত সমাধানে চালু করা হয়েছে বিশেষ হটলাইন ০১৩২৩-৪১৫৫০৩। এই নম্বরে ফোন করলেই নাগরিকরা সরাসরি পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন।
এবিষয়ে পৌরসভার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে কয়েকজন পৌর বাসিন্দা বলেন প্রায় ১৫০ বছরের প্রাচীন পৌরসভা ও প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান, কিন্তু আমরা পৌরবাসী সেবা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু আমাদের মনে হয় স্মরণ কালের সেরা সেবা কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে, আমরা চাই এই সেবার মান অব্যাহত থাকুক। এটা যে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান সেই পরিচয় বহন করতে পারে