বাড্ডায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, দিনদুপুরে গুলি — গ্রেফতার ১, পলাতক ১

মাহমুদুল হাসান
রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন সাঁতারকুল এলাকায় পাওনা টাকা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ গুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুর ১২:৪০ মিনিটে ঘটনার সময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,খালপাড় আবদুল হামিদ রোডের একটি ভাতের হোটেল এর মালিক মোঃ মুন্না (৩৭) পিতাঃ গোলজার হোসেন, মাতাঃ মৃত- মনোয়ারা বেগম, সাং- দশআনি থানাঃ গাইবান্ধা, সদর জেলাঃ গাইবান্ধা। বর্তমানে নয়নের বাড়ির ভাড়াটিয়া। একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ কাউসার (৪০) ফার্নিচার কারখানার মালিকের নিকট ২২,০০০ টাকা পাওনা ছিলেন মুন্না। বেশ কিছুদিন টাকা না পেয়ে তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ৪১ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবকদলের নেতা মোঃ বিল্লাল হোসেন এর কাছে বিষয়টি জানান।বিল্লাল হোসেন বিষয়টি মীমাংসায় এগিয়ে এলে, কারখানার মালিক কাউসারের পাওনা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে কারখানার মালিক ফোন করে অভিযুক্ত সায়মন (৩০) কে ডাকে। সায়মনের সাথে থাকা আরেক আসামি - মোঃ রিয়াদ আহমেদ আজগর (৩৪), পিতা: মৃত সিরাজুল ইসলাম, ঠিকানা: পূর্ব পদরদিয়া, আলীনগর, বাড্ডা।সায়মান তার সহযোগীকে সাথে নিয়ে একটি লাল রঙের মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে আসে। এসেই তারা বিল্লাল হোসেনকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। সৌভাগ্যক্রমে, বিল্লাল গুলির শব্দ শুনেই মাটিতে শুয়ে পড়ায় প্রাণে রক্ষা পান। গুলি কারো শরীরে না লাগলেও এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।"ঘটনার পরপরই বাড্ডা থানার এসআই (নিঃ) হানিফ এর নেতৃত্বে একজনকে আটক করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম – মোঃ রিয়াদ আহমেদ আজগর (৩৪), পিতা: মৃত সিরাজুল ইসলাম, ঠিকানা: পূর্ব পদরদিয়া, আলীনগর, বাড্ডা। যার বাড্ডা থানা সাধারণ ডায়রি নাম্বার ১৮৮ এবং সি সি নাম্বার ৪৭১। ঘটনার বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুর রহমান ভোরের সময়কে জানান, “আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। প্রাথমিকভাবে একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত গুলির অস্ত্র উদ্ধার কিংবা মূল কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে, প্রয়োজনে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”স্থানীয় কিছু বাসিন্দা জানিয়েছেন, এটি পূর্ব শত্রুতা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা ব্যক্তিগত কোনো বিরোধের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তবে এখনো কিছুই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।নাগরিক সমাজ মনে করছেন, “একটি আবাসিক এলাকায় দিবালোকে এমন গুলির ঘটনা অবশ্যই উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সক্রিয় হতে হবে।”পরিশেষে, ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং জড়িতদের বিস্তারিত পরিচয় জানতে নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সতর্ক সংবাদ পরিবেষন প্রয়োজন। যতক্ষণ না তদন্তে পুরো সত্য উঠে আসে, তত ততক্ষণ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকা শ্রেয়।